সমস্যমান পদগুলোর কোনটির অর্থ না বুঝিয়ে, অন্য কোন পদকে বোঝায়। যথা- বহু ব্রীহি (ধান) আছে যার = বহুব্রীহি। আয়ত লোচন যার = আয়তলোচন (স্ত্রী), মহান আত্মা যার= মহাত্মা নীল বসন যার= নীলবসনা, here ধীর বুদ্ধি যার = ধীরবুদ্ধি।
আর উপমেয় আর উপমানের যে গুণটি নিয়ে তাদের তুলনা করা হয়, সেই গুণটিকে বলা হয় সাধারণ ধর্ম ।
অব্যয় পদ পূর্বে থেকে যে সমাস হয় এবং যাতে পূর্ব পদের অর্থেরই প্রাধান্য থাকে, তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে।
⇒ কে কেন সমাসকে সুনিপুণ গৃহিণীর সাথে তুলনা করেছেন?
মধ্যপদলোপী কর্মধারয় : ব্যাসবাক্যের মধ্যপদের লোপ পায়। যথা- সিংহ চিহ্নিত আসন = সিংহাসন, সাহিত্য বিষয়ক সভা = সাহিত্যসভা, ঘরে আশ্রিত জামাই = ঘরজামাই।
উপমিত কর্মধারয়ঃ সাধারণ গুণের উল্লেখ না করে উপমেয়পদের সাথে উপমানের সমাসকে বলা হয় উপমিত কর্মধারয় সমাস। যেমন : মুখ (উপমেয়) চন্দ্রের (উপমান) ন্যায় = মুখচন্দ্র। পুরুষ (উপমেয়) সিংহের (উপমান) ন্যায় = পুরুষসিংহ।
মধ্যপদ: পূর্বপদ ও পরপদের মধ্য অবস্থিত "অতিরিক্ত" কোনো পদ।[১০]
অর্থসম্বন্ধ আছে এমন একাধিক শব্দের এক সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি নতুন শব্দ গঠন প্রক্রিয়াকে সমাস বলে।
উপমেয় পদে উপমানের আরোপ করে যে সমাস হয়, তাকে রূপক কর্মধারয় সমাস বলে। এতে উপমেয় পদে রূপ শব্দের যোগ থাকে। যেমন: বিদ্যারূপ ধন = বিদ্যাধন। এখানে ‘রূপ’ শব্দের যোগ রয়েছে।
একশেষ দ্বন্দ্ব : ব্যাসবাক্যের একাধিক শব্দ একপদে লুপ্ত হয় এবং বহুবচন হয়। যেমন : মানুষ মানুষ মানুষ = বহুমানুষ।
রূপক কর্মধারয় সমাসঃ উপমেয় পদে উপমানের আরোপ করে যে সমাস হয়, তাকে রূপক কর্মধারয় সমাস বলে। এতে উপমেয় পদে রূপ শব্দের যোগ থাকে। যেমনঃ বিদ্যারূপ ধন = বিদ্যাধন। এখানে ‘রূপ’ শব্দের যোগ রয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সমাসকে সুনিপুণ গৃহিণীর সাথে তুলনা করেছেন। কারণ, কোনো গৃহিণী যেমন তার সুনিপুণ গৃহিণীপনার সাহায্যে বিভিন্ন উপাদানের দ্বারা খাদ্যবস্তু তৈরি করে এবং বিভিন্ন স্বভাবের ব্যক্তিবর্গকে একসূত্রে আবদ্ধ রাখে সমাস প্রক্রিয়াও তেমনি বিভিন্ন অর্থযুক্ত (যদি অর্থগত সম্বন্ধ থাকে) শব্দ বা পদ নিয়ে নতুন শব্দ বা পদ গঠন করে। তাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সমাসকে সুনিপুণ গৃহিণীপনার সঙ্গে তুলনা করেছেন।
কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করতে হয় ? কিওয়ার্ড রিসার্চ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ ?
পূর্বপদে স্ত্রীবাচক বিশেষণ থাকলে তা পুরুষবাচক হয়ে যাবে। যেমন, সুন্দরী যে লতা = সুন্দরলতা